Saturday, August 04, 2012

Bangla Koutok

Rahimul Islam 8801750004111



১.
শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বলছেন কে কি হতে চায় ভবিষ্যতে-
রানা: আমি পাইলট হতে চাই।
সুমিত: আমি ডাক্তার হতে চাই।
দীপা: আমি একজন ভালো মা হতে চাই।
সুমন: আমি দীপাকে সাহায্য করতে চাই।
২.
ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা মিস মিলি এসেছেন। তিনি প্রথমেই সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। কাজেই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বললেন, ‘ছোট্ট সুজি, তোমার বাবা মা কী করেন?’
‘আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।’
মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, ‘ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?’
‘আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।’
‘বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?’
বাবু বলল, ‘আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন পতিতা।’
মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।
‘তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?’
‘জ্বি মিস।’ বলল বাবু।
‘তিনি কী বললেন?’
‘বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।’
৩.
প্রথম দিন ডেট সেরে বান্ধবীকে রাতের বেলা বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছে বাবু। দরজার পাশে দেয়ালে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো সে, ‘সোনা, একটা চুমো খেতে দাও আমাকে।’
‘কী? তুমি পাগল হলে? এখানে দাঁড়িয়ে না না না!’
‘আরে কেউ দেখবে না। এসো, একটা চুমো।’
‘না না, খুব ঝামেলা হবে কেউ দেখে ফেললে।’
‘আরে জলদি করে খাবো, কে দেখবে?’
‘না না, কক্ষণো এভাবে আমি চুমো খেতে পারবো না।’
এমন সময় দরজা খুলে গেলো, বান্ধবীর ছোট বোন ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। চোখ ডলতে ডলতে সে বললো, ‘আপু, বাবা বলেছে, হয় তুমি চুমো খাও, নয়তো আমি চুমো খাই, নয়তো বাবা নিজেই নিচে নেমে এসে লোকটাকে চুমো খাবে — কিন্তু তোমার বন্ধু যাতে আল্লার ওয়াস্তে ইন্টারকম থেকে হাতটা সরায়।’
৪.
প্রচণ্ড অলস এক লোক বড়শিতে মাছ তুলে বসে আছে।
পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে কোমল স্বরে বললেন, ভাই মাছটা একটু খুলে দেবেন?
একটু বিরক্ত হয়েও মাছটা খুলে দিলেন লোকটি। তারপর বললেন, এত অলস আপনি! এক কাজ করেন- একটা বিয়ে করেন। ছেলেপেলে হলে আপনাকে কাজে সাহায্য করতে পারবে।
উত্তর এলোঃ ভাই, আপনার জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে আছে?
৫.
একটি আন্তর্মহাদেশীয় ট্রেনে এক ব্যক্তি আর এক মহিলা একই কম্পার্টমেন্টে শোওয়ার জায়গা পেয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ উসখুস করলেও দুজনেই খুব ক্লান্ত থাকায় অল্পক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। ভদ্রলোক উপরের বার্থে আর ভদ্রমহিলা নীচের বার্থে।
মাঝরাতে হঠাৎ ভদ্রলোকের ঘুম ভাংল। তিনি একটু ইতস্তত করে ভদ্রমহিলাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন ” দেখুন কিছু মনে করবেন না , আমার এত ঠান্ডা লাগছে, আপনি কি দয়া করে আমার সুটকেস থেকে একটা কম্বল বার করে আমায় দেবেন ?”
ভদ্রমহিলা উত্তরে বললেন ” আমার আরো একটা ভালো আইডিয়া আছে। আজকের রাতের জন্য মনে করি না আমরা স্বামী আর স্ত্রী?”
ভদ্রলোক খুব অবাক আর মনে মনে খুব খুশি হয়ে বললেন ” ওয়াও!!! দারুণ আইডিয়া!! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?”
“উঠুন আর নিজের কম্বল নিজে নিয়ে নিন। ”
৬.
রাতে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন এক ভদ্রলোক। গাড়ি জ্যামে আটকে গেলে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল।
: দয়া করে কিছু দিন স্যার !
: তুমি মদ খাও ?
: না স্যার।
: তুমি ধূমপান কর ?
: না।
: জুয়া খেল ?
: না।
: তুমি শিগগির আমার গাড়িতে উঠ।
: যা দেবার এখানেই দিন, স্যার।
: না, তোমাকে বাড়ি নিয়ে আমার স্ত্রীকে দেখাতে চাই যে, মদ, জুয়া, ধূমপান এ সবের সাথে না থাকলে মানুষের জীবনের কি ভয়াবহ অবস্থা হয়।
৭.
অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে জনৈক ব্যক্তি একটা রোবট কিনে নিয়ে ‍গেলেন। ‍সত্য-মিথ্যা যাচাইকারী রোবট। মিথ্যা বললে আঘাত করে বুঝিয়ে দেয় এটা মিথ্যা। বেশ খানিক পরে তার ছেলে বাসায় আসল।
বাবা : এতক্ষন কোথায় ছিলে?
ছেলে : স্কুল ছুটির পর একটু বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলাম।
রোবটটি ঠাস করে মারল এক চড়।
বাবা : তুমি মিথ্যে বলছ। সত্য করে বল কোথায় গিয়েছিলে?
ছেলে : সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।
বাবা : কি সিনেমা দেখেছ?
ছেলে : বেদের মেয়ে জোছনা।
আবারো রোবট চড় মারল।
বাবা : তুমি আবারো মিথ্যা বললে। সত্য করে বল কি সিনেমা দেখেছ?
ছেলে : নাইট কু‍ইন।
ঠাস ঠাস শব্দে রান্নাঘর থেকে ছেলের মা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন।
মা : না হয় একটা ছবিই দেখেছে। তাই বলে এমন করে মারতে হবে নাকি?? এ বয়সে তো মানুষ কত কিছুই দেখে। তোমারই ত ছেলে।
এবার রোবট মহিলাকে চড় মারল।
৮.
এক ধোপার গাধা হারিযে গেছে । খুজতে খুজতে সারা দিন পার হয়ে গেছে।বিকেলে ধোপা এক গাছের উপর উঠে চারি দিকে তাকিয়ে খোজার চেষ্টা করছে ।এমন সময় দুজন প্রেমিক প্রেমিকা এসে গাছের নিচে বসলো। প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে, ডার্লিং তোমার চোখে চোখ রেখে আমি গোটা দুনিয়াই দেখতে পাই ।
একথা শুনে ধোপা গাছ থেকে ধপাস করে লাফ দিয় নেমে হাত জোর করে বললো ঐ চোখের দিকে তাকিয়ে আমার হারিয়ে যাওয়া গাধাটা কোথায় আছে বেলে দিন না প্লিজজজজজজজজজজজজ
৯.
একজন মহিলা ২ সপ্তাহের জন্য ইটালি যাবেন কোম্পানি ট্রেনিং এ। তার স্বামী তাকে এয়ারপোর্টে পৌছে দিলেন এবং তার শুভযাত্রা কামনা করলেন। তার স্ত্রী ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন “তোমার জন্য কি আনব?”
উত্তরে তার স্বামী হেসে বললেন “একজন ইটালী মেয়ে”
স্ত্রী কিছু না বলে চলে গেলেন। ২ সপ্তাহ পরে তার স্বামী আসলেন তাকে রিসিভ করতে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন “যাত্রা কেমন হল?”
“চমৎকার। ধন্যবাদ” উত্তর দিলেন তার স্ত্রী।
“আমার উপহার এর কি হল?” জিজ্ঞেস করলেন স্বামী।
স্ত্রী বললেন”কোন উপহার?”
“ঐ যে আমি একটা ইটালীয়ান মেয়ে চেয়েছিলাম…” বললেন স্বামী
“ওহ, ঐটা…আমি যা পেরেছি করেছি…কিন্তু মেয়ে কিনা তা জানতে ৯ মাস অপেক্ষা করতে হবে।”
১০.
একবার জন তার মাকে দাওয়াত করল তার বাসায় ডিনার করার জন্য। তার মা যথারিতি ডিনার করতে আসল। এসে দেখে তার ছেলের বাসায় একজন সুন্দর গৃহপরিচারিকা কাজ করছে। এ দেখে তার মায়ের মনে সন্দেহ হল। জন তার মায়ের এ সন্দেহ বুজতে পেরে মাকে বলল ওর সাথে আমার কোন খারাপ সম্পর্ক নেই।
তার মা চলে যাওয়ার পর গৃহপরিচারিকা জনকে বলল জন তোমার মা চলে যাওয়ার পর থেকে আমি মাংস নাড়ার বড় চামচ টি খুজে পাচ্ছি না। সে জনকে বলল তোমার কি মনে হয়? জন বলল আমি এ ব্যাপারে সন্ধিহান। তবে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাকে চঠি লিখব। এবং যেই কথা সেই কাজ।
জন লিখল এভাবে –প্রিয় মা আমি বলছি না যে তুমি আমার ঘর থেকে একটি চামচ নিয়েছ এবং আমি এও বলছি না যে তুমি নাও নি তবে তুমি যাওয়ার পর থেকে আমি একটি মাংস নাড়ার বড় চামচ খুজে পাচ্ছি না।
একসপ্তাহ পর জন উত্তর পেল । তার মা লিখল প্রিয় জন আমি মনে করি না যে তোমার গৃহপরিচারিকা তোমার বিচানায় ঘুমায় এবং আমি এও মনে করি না সে ঘুমায় না।কারন সে যদি তার বিচানায় ঘুমাতো তাহলে সে এত দিনে চামচটি পেয়ে যেত।



মাঝরাত। রঙ্গীলা ভাইয়ের পাশের বাসায় মধ্য বয়সী স্বামী আর তার অনিন্দ্য সুন্দরী তরুনী স্ত্রী কথা বলছেন।
১.
স্ত্রী: তুমি ভালবাসতে জানোনা।
স্বামী (রাগত স্বরে): আমি ভালোবাসতে জানিনা!! তুমি এতদিন পরে বলছো আমি ভালোবাসতে জানিনা!! তবে আমাদের তিন বাচ্চাকে কি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেছ?
স্ত্রী: ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করবো কেন? পাশের বাসার সূজা ভাইয়ের পেনড্রাইভ থেকে নিয়েছি।
২.
মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম কারিনা কাপুড়ের প্রেমে পড়েছেন। প্রেমে সফলতা লাভের জন্য তিনি বীর ভাইয়ের এক্সক্লুসিভ পানি পড়া কিনেছেন। তাকে ভালো বখশিস দিয়েছেন। কিন্তু পানিপড়া খাওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে বলিউড নায়িকার সাথে তার সম্পর্ক চিরদিনের জন্য ভেঙে গেছে। দাউদ ইব্রাহিমের লোকেরা বীর ভাইকে ধরে নিয়ে গেছে। বীর ভাইকে দাউদ ইব্রাহিমের দরবারে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে কি করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
ম্যানেজার: বস, এই পানিপড়া ওয়ালাকে নিয়ে কি করবো?
দাউদ ইব্রাহিম: এই বজ্জাত ব্যাটাকে লিকুইড অক্সিজেনে ছেড়ে দে।
ম্যানেজার: লিকুইড অক্সিজেনে ছেড়ে দিলে কি হবে?
দাউদ ইব্রাহিম : লিকুইড ওকে বেঁচে থাকতে দিবেনা আর অক্সিজেন ওকে মরতে দিবেনা। এই ব্যাটা আমার একনম্বর অক্সিজেনের ক্ষমতায় জীবন মৃত্যুর মাঝখানে লটকে থাকবে।
৩.
মাঘ মাস। শীতকে উপভোগ করতে জিয়া ভাই আর মুরুব্বী ভাই আউটিং-এ গেছেন। খোলা ময়দান। হুহু করে হওয়া বইছে। তাবুর ভিতরে জিয়া ভাই আর মুরুব্বী ভাই ব্লগিং নিয়ে আলোচনা করছেন। হঠাৎ আলোচনার মোড় ঘুরে গেল।
জিয়া ভাই: এবার শীত খুব বেশী। আচ্ছা আজাদ তোমার কি মনে হয় কটকটে লাল রং-এর ফ্ল্যানেল কাপড়ের আন্ডারওয়্যার পড়লে শীত কম লাগে?
মুরুব্বী ভাই : ফ্ল্যানেল কাপড়ে শীত একটু কম লাগবেই। তবে জিয়া, তুমি এই কথা জিচ্ঞেস করছো কেন?
জিয়া ভাই: কারন তুমি কটকটে লাল রং এর ফ্ল্যানেল কাপড়ের আন্ডারও্যায়ার পড়েছ।
মুরুব্বী: ও মাই গড!! তুমি এটা কি ভাবে জানলে?
জিয়া ভাই: এটা জানা খুব কঠিন কিছু না।
মুরুব্বী : প্লিজ জিয়া, বলো তুমি এটা কিভাবে জানলে?
জিয়া ভাই: তুমি লাল ফ্ল্যানেল কাপড়ের আন্ডার ওয়্যার পড়েছো?
মুরুব্বী : ১০০% সঠিক। কিন্তু তুমি কিভাবে তা বলছো?
জিয়া : লাল ফ্ল্যানেল কাপড়ের আন্ডার ওয়্যার পড়েছো। কিন্তু তোমার ফুলপ্যান্ট কই?
৪.
কবির আর রাজিন। দুইজনই হ্যান্ডসাম। স্মার্ট। প্রেম নিয়ে দুজনের নানাবিধ চিন্তা। দুজন মগ্ন হয়ে কথা বলছে।
রাজিন: আচ্ছা কবির ভাই, বিয়ের আগে প্রেম না বিয়ের পরে প্রেম?
কবির : দুটোই হতে পারে। যদি সাবধানে থাকো্।
রাজিন: সেটা কি রকম?
কবির: বিয়ের আগে প্রেম করলে প্রেমিকাকে সেই কথা বলার দরকার নাই। আর বিয়ের পরে প্রেম করলে বউকে না জানালেই হল।
রাজিন: গুরু, আমি যে এক্সট্রা দুইটা প্রেম করি সেটা আমার তিনজন প্রেমিকার একজনও জানেনা।
কবির: হা: হা: হা: আর আমি যে প্রেম করি সেটা তোমার ভাবী জানেনা।
৫.
মাসুম ভাই কবি মানুষ। বিয়ে করেছেন। বাসর রাত। উনার কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে। সদ্য বিবাহিত বউ-এর সাথে কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছা করছে।
মাসুম ভাই: প্রিয়তমা, আজ আমাদের বাসর রাত। কি যে ভালো লাগছে। এখন থেকে জীবন ছন্দ পাবে। নতুন ভাষা পাবে। নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে। নতুন নতুন অনুভূতি সৃষ্টি হবে আমাদের দুজনের হৃদয়ে। আজ এই বিশেষ রাতে বলো কোথায় যেতে চাও? চাঁদে না দূরের কোন গ্রহে? বলো প্রিয়ে বলো। লজ্জা করোনা।
নবপরিণতা স্ত্রী: ছি: আমার বুঝি লজ্জা করেনা। তোমার রকেট দেখেই না বলা যাবে কোথায় যাবো? চাঁদে না দূরের গ্রহে?
৬.
পদ্ম ভাই কোন বনেগা ক্রোড়পতি অনুস্ঠানে অংশগ্রহন করছেন। অমিতাভ বচ্চনের সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন। আর একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেই তিনি ক্রোড়পতি হয়ে যাবেন। সেই মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আর উত্তর।
অমিতাভ বচ্চন : হিন্দী ছবি ‘শোলে’-এর সবচাইতে বড় ট্রাজেডী কি?
পদ্ম ভাই: একে’তো ঠাকুরের বউ নাই, তার উপর ডাকু গাব্বার সিং ঠাকুরের দুইও হাত কেটে দিয়েছে।


No comments:

Post a Comment